সে বলল, তাই শুনলাম।
তার শব্দ ঘূর্ণাবর্ত
হয়ে জড়ায় অতীত স্বপ্ন
আর বর্তমানের তথ্য।
ভালে দেবপ্রতিম ভস্ম,
মুখবাদ্যে ব্রহ্মহুঙ্কার,
তবু শিশুর মতই স্বচ্ছ এবং
স্বেচ্ছাচারী, কাব্যিক।
যেন মতিচ্ছন্ন মূর্ত!
নাকি চল্লিশোর্ধ ভ্রান্তি?
আমি আগেও স্বপ্ন ফেলতাম।
সে কুড়িয়ে যত্নে ধরল।
তার স্বপ্নে আমার স্বপ্ন
দুটি ধারার মতন মিশছে।
তার পুরুষ আমার পৌরুষ
মিশে ঘূর্ণাবর্তে পাকসাট।
তার লিখন – যেন ডঙ্কা,
হতাশা – ধূ ধূ প্রান্তর,
সে কাব্য? নাকি চিৎকার?
তার চিন্তা – অশ্রাব্য।
তার চিন্তা – যথেষ্ট,
তার চিন্তা – অপূর্ব,
তার চিন্তা – অনন্ত
তার চিন্তা পরিব্যাপ্ত।
এই পরিব্যাপ্তি সন্ধান
আমার আকৈশোরের সঙ্গী –
এক সত্ত্বা, যার প্রাপ্তি
আমার স্বপ্নসাধের অন্তিম।
তাই ইতস্তত প্রশ্ন।
সে বলল, তাই শুনলাম –
তার প্রাপ্তি বলতে ভস্ম,
তার ব্যাপ্তি বলতে আত্মন।
যে মুহূর্তে তার স্বপ্ন
শুধু তথ্য হয়ে উঠল,
সব নষ্ট, ঘূর্ণাবর্তে
হতইচ্ছা, গতকাব্য।
মুখবাদ্যে আত্মধিক্কার –
যে মুহূর্তে স্ব-ইচ্ছা
শুধু প্রাপ্তি হয়ে উঠল,
আমার মূল্য বলতে ভস্ম।
আমার ব্যাপ্তি বলতে মৃত্যু।