ঘুম, ঘুমের আড়ালে ঘুম,
ঘুমে জড়াল, জড়াল ঘুমের আড়ালে, ঘুমকে ঘিরল দুহাতে ঘুম,
ঘুমের চোখ ছুঁয়ে, দুহাতে চোখ বোজাল ঘুম,
শোনাল ঘুমকে ঘুমপাড়ানি ছড়া,
ছড়া বাঁধল, বাঁধল ঘুমবাঁধনে, ঘিরল দুহাতে, ঘুমকে জড়াল
ঘুম।
ঘুমের দরোজায় কপাট ধরে দাঁড়াল ঘুম,
কাব্যস্মৃতি, স্মৃতিসৃত কথনভাণ্ডে
দুটি মানুষের কাহিনী ছন্দে ছন্দে,
যারা ভেবেছিল দুহাতে বাঁধবে ঘুমকে,
ভেবেছিল সন্তর্পণে বুদ্ধিজালে ফেলে,
বেঁধে হৃদিবাঁধনে, ঘিরবে দুহাতে, ঘিরবে ঘুমকে, ঘিরবে
যে ঘুম ঘুমের ঘোরে তাদের নাম ধরে ডাকে, সেই ঘুম।
এদিকে দরোজা ধরে যে ঘুম অপেক্ষা করে
ছিল, সে পায়ে পায়ে এসে, জড়িয়ে দুহাতে ঘিরল
ঘুম।
সে দুটি মানুষের চোখেও ঘুম জড়াল,
ঘুমের পালঙ্কে
দুজনে তবু একলা সুপ্ত, বুদ্ধিলুপ্ত,
অবোধ, অজ্ঞাতীত, এমনকি হৃদিবিস্মরিত,
যেন ঘুম নয়, তারাই দুটিতে
বাটা ভরা পান গাল পুরে খেয়ে দিল
ঘুম।
ঘুমের পালা ফুরোলে,
প্রহর জাগতে আসে যে দোসর ঘুম,
সেই ঘুমের কাব্য অপিচ অশ্রাব্য,
দীর্ঘ তন্দ্রার পর ভিন্নপথে স্বল্প বিস্তার করে
কাব্যস্বপ্ন, স্বপ্নচ্যুত কল্পাকল্প
বহু মানুষের কণ্ঠরোলে, ক্ষোভের, রোষের আদলে,
সে কণ্ঠে তারা চেয়েছিল, ভেবেছিল ঘিরবে, ঘিরবে শতহাতে,
বেঁধে জাগৃতি বাঁধনে, ঘিরবে শতহাতে, ঘুমকে ঘিরবে,
যে ঘুম ঘুমের ঘোরে তাদের নাম ভুলে থাকে, সেই
ঘুম।
এদিকে তারাও যে স্বপ্নের ভিতরে বসবাসী,
সে দুটি ঘুমন্ত মানুষের স্বপ্নভাষেরও অধিক স্বপ্নভাষী,
সেই তথ্য সহসা নিদ্রাপাতের মত তাদের ভাসিয়ে
নিয়ে গেল,
এ যেন ঘুম নয়, তারাই সকলে
বাটা ভরা পান গাল পুরে খেয়ে দিল
ঘুম।